সুনামগঞ্জ-৩
বিদ্রোহীদের চ্যালেঞ্জের মুখে দলীয় প্রার্থী
- আপলোড সময় : ১৫-১১-২০২৫ ০৮:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৫-১১-২০২৫ ০৮:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন
মো. শাহজাহান মিয়া ::
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) বিদ্রোহী প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বিএনপির দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী এম কয়ছর আহমদ। ফলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে তাকে বেগ পেতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে ৭ জন প্রার্থী বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তারা হলেন যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা এমএ কাহার, ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন, এম কয়ছর আহমদ, নাদির আহমদ, সাবেক মেজর সৈয়দ আলী আশফাক সামী, আবদুস ছাত্তার ও এমএ মালেক খান। এর মধ্যে দল এম কয়ছর আহমদকে মনোনয়ন প্রদান করে। এতে নাখোশ হন অন্যান্য প্রার্থীরা। এদিকে, দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির পর শুধু আবদুস ছাত্তারের সমর্থন আদায় করতে পারলেও বাকিদের সমর্থন আদায় করতে পারেননি এম কয়ছর আহমদ। যার প্রভাব পড়ছে নির্বাচনী মাঠে।
দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ হলে তারা জানান, বিএনপি এমনিতেই দুইভাগে বিভক্ত। এম কয়ছর আহমদ নিজ পছন্দের নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। বলয়কেন্দ্রিক কমিটি গঠন হওয়ায় বঞ্চিত হন দলের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী। যার প্রভাব নির্বাচনী মাঠে ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় মনোনয়ন বঞ্চিত এমএ কাহার, ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন, নাদির আহমদ ও সাবেক মেজর সৈয়দ আলী আশফাক সামী সহ ৪
প্রার্থী এক সঙ্গে কাজ করছেন। তাদের প্রত্যাশা ছিল তাদের মধ্যে যে কেউ দলীয় মনোনয়ন পেলে তারা একে অপরকে সহযোগিতা করবেন। তবে তাদের কেউই দলীয় মনোনয়ন পাননি। এতে তারা নাখোশ হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, মনোনয়নবঞ্চিতরা একজোট হয়ে তাদের মধ্য থেকেই একজনকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাবেন। ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এম কয়ছর আহমদ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, মনোনয়নবঞ্চিতরা তাদের মধ্য থেকে একজনকে সমর্থন দিলে এম কয়ছর আহমদ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। বিভিন্ন বলয় তার বিরুদ্ধে কাজ করলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া সহজ হবে না। এছাড়া অঞ্চলকেন্দ্রিক ভোট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ মনোনয়নবঞ্চিতদের মধ্যে শান্তিগঞ্জের একমাত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন। ইতোমধ্যে তিনি ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। অঞ্চলকেন্দ্রিক ভোটের হিসাবে কষলে ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন। পাশাপাশি মনোনয়নবঞ্চিত জগন্নাথপুরের প্রার্থীরা যদি আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন দেন তাহলে তিনি ভোটের হিসাবে তিনি অনেক এগিয়ে থাকবেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ

সুনামকন্ঠ ডেস্ক